সরিষা ফুলের মধুঃ (Apis Mellifera Box Mustard Honey)
সরিষা মধু বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশী উৎপাদিত হয়। এমন কি এই মধু বাহির দেশেও রপ্তানী করা হয়।
সরিষা উৎপাদনের মৌসুমে এই মধুর চাষ হয়।শীতকালে এই মধু জমে যায়।যখন সরিষা ফুল হয় তখন মৌচাকগুলি সরিষা ক্ষেতে/মাঠে সারিবদ্ধভাবে বসিয়ে দেয়া হয়। সেখান থেকে মোউমাছি ৮০-৮৫ ভাগ সরিষা ফুলের মধু আহরন করে থাকে আর ঐখান থেকে যে মধু সংগ্রহ করি তাকে সরিষা ফুলের মধু বলি। বাকি ১০-১৫ ভাগ অন্য ফুলের মধুর মিশ্রণ এখানে থাকে। সরিষা ফুলের মধু দেখতে সাদাটে। এই মধুর ফ্লেভার সরিষা ফুলের ফ্লেভারের মত। এই মধু জমে/বসে যায়। এমন কি বেশি ঠান্ডা পেলে মিছরির মতো দানা আকার ধারন করবে। ঠান্ডা পেলে সরিষা ফুলের মধু যদি না বসে তাহলে বুঝতে হবে, ঐ মধুতে কোন ক্যামিকেল মিশ্রিত আছে। বসে যাওয়া মধু দেখে অনেকে চিনির শিরার মিশ্রণ বলে মনে করে। কিন্ততু সরিষা এবং ধনিয়া ফুলের মধু ঠান্ডা পেলে বসবেই। এটাই তাদের বৈশ💠সরিষা ফুলের প্রাকৃতিক RAW মধুর ৬ টি বৈশিষ্ট্যঃ
👉টাটকা মধু দেখতে সাধারণত Extra Light Amber রঙের হয়। তবে কিছু দিন পরে জমে যাওয়ার ফলে সাদা রঙের হয়ে যায়।
👉সরিষার জমা মধু কারো কাছে অত্যান্ত পছন্দের আবার কারো কাছে অপছন্দের।
ঘ্রাণ অনেকটা সরিষার ফুলের সাথে মিল খুঁজে পাওয়া যায়।
মধুর ঘনত্ব কম বা বেশি হতে পারে।
মধু পাতলা হলে ফেনা হতে দেখা যায়। আর ঘনত্ব বেশি হলেও সরিষা মধুতে অনেক সময় সামান্য ফেনা হতে পারে।
সরিষা ফুলের মধু ঘন হোক বা পাতলা হক- এটা সারা বছরই জমে থাকে। ঘন-পাতলা এবং তাপমাত্রার উপরে নির্ভর করে সম্পূর্ণ মধু বা বেশীরভাগ মধু জমে সাদা হয়ে থাকে। যেটা একেবারে ক্রিম এর মতো দেখা যায়।িষ্ঠ্য।