item_group_id Seasonal Fruits

মানিকগঞ্জের ঐতিহ্য হাজারিগুড়

SKU: SKU-0037
PRICE: Tk

মানিকগঞ্জের শত বছরের ঐতিহ্য হাজারিগুড়।

স্বাদে, গন্ধে অতুলনীয় মানিকগঞ্জের হাজারি গুড়। শুধু দেশেই নয়, মানিকগঞ্জের হাজারি গুড়ের খ্যাতি ছড়িয়েছে বিদেশেও। এই গুড়ের নামেই জেলার ব্র্যান্ডিং করা হয়েছে 'হাজারি গুড় আর বাউল গান, মানিকগঞ্জের আসল প্রাণ।


- +
Tk
Call Now: +8801862830430
হোয়াটসঅ্যাপ অর্ডার
অর্ডার কনফার্ম করতে ডেলিভারী চার্জ অগ্রিম দিলে ভালো হয়। ঢাকায় ৭০/= ঢাকার বাহিরে ১৩০/=

Product Description



ঐতিহ্যের পথ ধরে চলুন জেনে আসি তার ইতিহাস...


লোভনীয স্বাদ আর মন মাতানো সুগন্ধে অতুলনীয়হাজারি গুড একসময়ছিল বিশ্বব্যাপী সমাদৃত।💖💖💖


এই গুড়ে গল্পটাও অনেক দিনের পুরোনো। ‘ঝিটকার হাজারী  পাটালী গুড়বাংলার শেষ সুবেদার নবাবসিরাজউদ্দৌল্লা আমল থেকেই সুনাম বহন করে আসছে। এমনকি এই হাজারী গুড তৎকালীন দিল্লীর বাদশা ওইংল্যান্ডের রানীকে উপহার হিসেবে পাঠানো হতো। বিশ্বের কমপক্ষে ২০টি দেশের মানুষ  গুড়েরস্বাদ নিতে মুখিয় থাকে।


কথিত আছেপ্রায়২০০ বা ৩০০ বছর আগে ঝিটকা অঞ্চলে হাজারি প্রামাণিক নামে একজন গাছি ছিলেন যিনি খেজুরেররস দিয় গুড়তৈরি করতেন।একদিন বিকালে খেজুরগাছ কেটে হাঁড় বসিয়েগাছ থেকে নামামাত্রই একজন দরবেশ এসে তারকাছে রস খেতে চান। তখন ওই গাছি দরবেশকে বলেনসবে গাছে হাঁড় বসানো হয়েছে।এ অল্প সময় বড়জোর১০-১৫ফোঁটা রস হাঁড়িত পড়েছে।তবুও দরবেশ রস খাওয়া আকুতি জানান এবং তাকে গাছে উঠে হাঁড়িনামাতে বলেন। গাছিতখন খেজুরগাছে উঠে হতবাক হয় যান। দেখতে পানমাত্র কয়েকমিনিটে পুরো হাঁড় রসে ভরে গেছে।


 গাছি হাঁড়িভরারস নিয় নিচে নেমে দরবেশকে রস খাওয়ানএবং তার পা জড়িয ধরেন। তখন দরবেশ গাছিকে তুলে বুকেজড়িয়ধরে বলেন, ‘কাল থেকে তুই যে গুড়তৈরি করবি তা সবাই খাবে এবং তোর গুড়ে সুনাম দেশ-বিদেশে ছড়িয়েপড়বেবলেই দরবেশ দ্রুত চলে যান। ওই দিন থেকে হাজারী প্রামাণিকের নামেই  গুড়ের হাজারি’ নামকরণ হয়।আবার প্রবীণ অনেকের মতেগাছের রস থেকে বিশেষ কৌশলে সুগন্ধময সফেদ  গুড়েরউদ্ভাবন করেছিলেন হরিরামপুরউপজেলার ঝিটকা গ্রামের মিনহাজ উদ্দিন হাজারী। প্রকৃত হাজারী গুড তৈরির গোপন কৌশল একমাত্র তার পরিবারেরসদস্যদের মাঝেই রয়েগেছে। তার নামেই এই গুড়ে নামকরণ হয়েছে হাজারী গুড'


তবে সবচেয়েগ্রহণযোগ্য জনশ্রুতি হলোব্রিটিশ আমলে রানী এলিজাবেথ ভারতবর্ষ সফরকালে রানীর খাবার টেবিলেদেওয় হয়েছিলএই গুড়। রানী কৌতূহলবশত  হাতে নাড়াচাড়া করে একটু চাপ দিতেই গুড়ের দলা ভেঙে হাজার টুকরা হয়েগেলো।এই গুড়ে স্বাদ  ঘ্রাণে মুগ্ধ হয়েরানী হাজারি নামে একটি সীলমোহর প্রদান করেন। আর সেই থেকে এর নাম হয়হাজার গুড়।

শীতকালে ঝিটকা গ্রামের হাজারি পরিবারের ১৫-২০ জন গাছি খেজুরগাছ থেকে রস সংগ্রহ করে গুড তৈরির সাথে সম্পৃক্ত।এই পরিবারের দেখাদেখি ঝিটকা গ্রামের অন্য গাছিরাও হাজারি গুড়উৎপাদন করে থাকেন। তবে প্রকৃত হাজারি গুড তৈরিরমূলমন্ত্র একমাত্র তার পরিবারের সদস্যরাই জানেন বলে জানা যায়।

সব মিলিয় ৩০ থেকে ৩৫টি পরিবার  পেশার সাথে জড়িত।বছরের অন্য সময ঝিটকা গ্রামের মানুষজন অন্যান্য কাজেব্যস্ত থাকলেও শীত মৌসুমে সবাই গুড়তৈরির কাজে ব্যস্ত থাকে। রস সংগ্রহজ্বাল দেয়  গুড়বানানো  কাজে পরিবারেরসবাই সহযোগিতা করে বলে জানা যায় অন্য যেকোনো খেজুরের গুড়েরতুলনায হাজারি গুড়েরবিশেষ বৈশিষ্ট্য হলোহাতেনিয় ঘষা দিলেই সাথে সাথে তা গুড়োহয় যায়।

তবে বর্তমানে খেজুর গাছের সংখ্যা ব্যাপক হারে কমে যাচ্ছে এবং নতুন করে গাছ লাগানো হচ্ছে না। পাশাপাশি এই গুড়তৈরি কারিগর বা গাছীর সংখ্যাও কমে যাচ্ছে এবং নতুন প্রজন্মের এই কাজের প্রতি আগ্রহ নেই। তাই অদূর ভবিষ্যতেহয়তোহারিয় যাবে হাজারি গুড়।

ভালো

 গুড়ের জন্য দরকার খুব ঠাণ্ডা রোদেঝলমলে আবহাওয়া হাঁড়িগুলো ।গরম জলে ধুয় রোদে েশুকাতে হয়।কাকভোরেই গাছে উঠে রস নামাতে হয় সকাল আটটার মধ্যে গুড় বানানো ।শেষ। মূলত রসের সময পৌষ়মাঘফাল্গুনএসময়টাত দিনে মাত্র ছয়সাত ঘণ্টা ঘুম হয তাদের। দূর-দূরান্ত থেকে ক্রেতা বাড়িতে এসে কিনে নিয়েযান। গুড় মারা হয়হাজারিলেখা সিলমোহর।  হাজারি পরিবারের কেউ সম্পত্তি চান নাচান সিলমোহর। েযদিও বৃহত্তর হাজারি পরিবার এখনখণ্ডিততবে তাঁরা পাশাপাশি বাস করেন।


স্থানীয গাছিরা দুপুরের পর থেকে খেজুর গাছ কেটে হাঁড়িবসিয় দেন। সারা রাত ওই হাঁড়িতেরস পড়া পর ভোরে আবারগাছ থেকে হাঁড়িনামানো হয় এরপর গাছি পরিবারের নারীরা মাটির চুলায়ভোর থেকে রস জ্বাল দিয় ঘন করেন। রসেরঘনত্ব বেড়েগেলে একটি মাটির হাঁড়িত বিশেষ প্রক্রিয়াযঘুঁটে ঘুঁটে তৈরি করা হয়সাদা রঙের হাজারি গুড় বেশি শীত অর্থাৎ১৫ থেকে ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসতাপমাত্রায  গুড়উৎপাদনের নির্ভযোগ্য সময় আগের দিন বিকেলে গাছ কেটে হাঁড়িবেঁধেদেয় হয়।পরদিন ভোরেসূর্য ওঠার আগেই গাছ থেকে রস নামিয় ছেকে ময়লাপরিষ্কার করে মাটির জালা অথবা টিনেরতাফালে (পাত্রবাইনে (চুলাজ্বালিয় গুড়তৈরি করতে হয় জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হয়খড়কুটনাড়াও কাশবন।এ গুড দেখতে যেমন সুন্দরখেতেও তেমনি সুস্বাদু।


#প্রি_অর্ডার_নেওয়াহচ্ছে.....


খুচরা মূল্য

২০০০/= কেজি 


👉প্রি অর্ডার করতে আপনার নাম ঠিকানা দিয়ে ইনবক্স করুন। 


👉 ৫০০/= টাকা বিকাশ করে অর্ডার কনফার্ম করতে হবে। (কোন কারনে অর্ডার ক্যান্সেল করতে হলে পূর্ণ টাকা ফেরতদেওয়া হবে-ইনশাল্লাহ


👉 অর্ডার কনফার্ম করার কমপক্ষে  সাপ্তাহের ভিতরে ডেলিভারী। 


দূরালাপনি: 01862830430 

Related Products

20 TK Off সাতক্ষীার হিমসাগর সাতক্ষীার হিমসাগর

সাতক্ষীার হিমসাগর

Code: SKU-0082

Tk 150 Tk 130

5 % Off রাজশাহীর পাটালী গুড়

রাজশাহীর পাটালী গুড়

Code: SKU-0039

Tk 900 Tk 855

5 % Off শীত উৎসব শীত উৎসব

শীত উৎসব

Code: SKU-0038

Tk 1700 Tk 1615

10 % Off বৃহত্তর যশোরের খুড়ি পাটালি বৃহত্তর যশোরের খুড়ি পাটালি

বৃহত্তর যশোরের খুড়ি পাটালি

Code: SKU-0036

Tk 650 Tk 585

আখের হাতে বানানো লাল চিনি আখের হাতে বানানো লাল চিনি

আখের হাতে বানানো লাল চিনি

Code: SKU-0029

Tk 300